মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৪৩ পূর্বাহ্ন
আগৈলঝাড়া প্রতিনিধি
বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলা সদরে ‘বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট ও অনুশীলণ সাংস্কৃতিক সোসাইটি’র নামে যুবদল নেতার ভবনে নাম ফলক সাঁটিয়ে লাখ টাকার বরাদ্দ লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সোমবার সকালে স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে, বরিশাল জেলা পরিষদ থেকে ২০১৬-১৭ অর্থবছরে উল্লেখিত সংগঠনের নামে ১লাখ টাকা বরাদ্দ করা হয়। পরবর্তীতে ওই বরাদ্দের টাকা লুট করতে পৌর যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক ও পৌর ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান ফকিরের মালিকানাধীন ভবনের দ্বিতীয় তলার একটি ভাড়াটিয়া করে দরজার নিচের অংশে নামফলক সাঁটিয়ে প্রকল্পের পুরো টাকা আত্মসাত করা হয়েছে।
সূত্রে আরও জানা গেছে, নাম ফলকটি এমনভাবে সাঁটানো হয়েছে যাতে কারও সহজে নজর না পরে। প্রকল্পের টাকা তুলতে কাজ সম্পন্ন শেষে নাম ফলকের ছবি তুলে জেলা পরিষদে জমা দিতে হওয়ার প্রয়োজনে নামফলকটি সাঁটানো হয়েছে মাত্র।
যুবদল নেতার মালিকানাধীন ভবনে করে দরজার নিচে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের নামে নেওয়া লাখ টাকার বরাদ্দ লোপাট করতে নামফলকটি সাঁটানো নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে। নাম ফলকে প্রকল্প সভাপতি হিসেবে উপজেলা বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাবেক সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান শরীফ উদ্দিন আহমদ কিসলুর নাম লেখা রয়েছে। রবিবার রাতে এমন একটি পোষ্ট ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।
এ ব্যাপারে ওই প্রকল্পের সভাপতি উপজেলা বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাবেক সভাপতি এবং উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান শরীফ উদ্দিন আহমদ কিসলু বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন উপলে শিশু-কিশোর সমাবেশ ও বাদ্যযন্ত্র ক্রয়ের জন্য জেলা পরিষদের বরাদ্দের ওই টাকা তখন ব্যয় করা হয়েছিল। স্থানীয় একাধিক সূত্রের দাবি, সাঁটানো নামফলকের সাথে বাদ্যযন্ত্র ক্রয়ের বক্তব্যের কোন মিল নেই।
এলাকাবাসী অভিযোগে বলেন, প্রকল্প চুড়ান্ত কাজ পরিদর্শণ না করে সংশ্লিষ্ঠ জেলা পরিষদ প্রকৌশলী কিভাবে চুড়ান্ত বিল অনুমোদন করেছেন তা খতিয়ে দেখারও অনুরোধ করেছেন তারা।
বানারীপাড়া উপজেলা বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের বর্তমান সভাপতি ওয়াহীদুজ্জামান দুলাল বলেন, প্রকল্পের টাকা প্রকল্পের কাজেই ব্যয় করতে হয়, অন্যকোন খাতে ব্যয় করার সুযোগ নেই। বরিশাল জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার শাখার উপ-পরিচালক (ডিডিএলজি) মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
অপরদিকে বিষয়টি তদন্ত করে বরিশাল জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও বানারীপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে প্রকল্পের ওই সভাপতির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের অনুরোধ জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানা ও সাংগঠনিক সম্পাদক সুজন হালদার।